স্বদেশ ডেস্ক: বৃটেনে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩১৪ জন। এ সময়ে মারা গেছেন ১১৪ জন। সরকারি ডাটা উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাইনিউজ। এতে বলা হয় বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৫৭২ জন। মারা গেছেন ১১৩ জন। গত সপ্তাহে এই সময়ে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৭০০। মারা গিয়েছিলেন ১০০ জন। স্কাই নিউজ আরো বলছে, বৃটেনে বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন আরো ৫৫ হাজার ৯৭৯ জন।
এ নিয়ে বৃটেনে কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেয়া ব্যক্তির মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫। এর মধ্যে এখন ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরাও রয়েছে। ওদিকে এদিন টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯ জনকে। এ নিয়ে মোট পূর্ণাঙ্গ টিকা দেয়া হলো ৪ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ১২৮ জনকে। গত ২৮ দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৭ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর জন্য করোনা সনদ দেয়া হয়েছে এমন সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৮১১। এ ছাড়া ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় সংক্রমিতের মোট সংখ্যা ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ১৪৭।
বৃটিশ সরকারের সর্বশেষ ডাটা অনুযায়ী, ১৬ই আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৮৫৮ জন রোগীকে। গত সাত দিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মোট ৫৮০৯ জনকে। আগের সপ্তাহের তুলনায় এই সংখ্যা শতকরা ৮.১ ভাগ বেশি। অর্থাৎ বৃটেনে আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় জনসাধারণকে বিলম্ব না করে টিকা নেয়ার অনুরোধ করেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি। তিনি বলেছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে খুব খারাপ অবস্থায় ভর্তি আছে কিছু যুবক। এর মধ্য দিয়ে তিনি যুবশ্রেণিকে টিকা নেয়ায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এক মাসের বেশি তিনি একটি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে দেখেছেন, সেখানে আক্রান্তদের বেশির ভাগই টিকা নেননি।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সেখানে মোট যে পরিমাণ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে শতকরা ৫৫ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এই ভ্যারিয়েন্ট বৃটেনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যারা এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই কোনো টিকা নেননি। এতে আরো দেখা গেছে, ৫০ বছরের কম বয়সী শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষ, যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে, তারা টিকা নেননি। এ ছাড়া ইংল্যান্ডে একই বয়সসীমার দুই-তৃতীয়াংশ, যারা মারা গিয়েছেন, তারা টিকা নেননি।
প্রফেসর ক্রিস হুইটি টুইটে বলেন, প্রাপ্ত বয়স্কদের বেশির ভাগই টিকা নিয়েছেন। সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ লাখ যুবক বা যুবতী এখনও তাদের প্রথম ডোজ টিকা নেননি। শুক্রবার সরকারিভাবে প্রকাশিত ডাটা অনুযায়ী, ইংল্যান্ডে ‘আর’ নাম্বার বেড়েছে ০.৯ থেকে ১.২ এর মধ্যে। ইংরেজি অক্ষর ‘আর’ ব্যবহার করা হয় রিপ্রোডাকশন বা সংখ্যা বৃদ্ধি বোঝাতে। গত সপ্তাহে এর মান ছিল ০.৮ থেকে ১ এর মধ্যে।